আত্মহত্যা প্রতিরোধযোগ্যঃ সহায়তায় এগিয়ে আসতে হবে সবাইকে


আত্মহত্যা প্রতিরোধযোগ্যঃ সহায়তায় এগিয়ে আসতে হবে সবাইকে

আমরা প্রতিদিনই পত্রিকা, টেলিভিশন কিংবা অনলাইনে আত্মহত্যার খবর পড়ি। খুব মন খারাপ করে ভাবি কেনো মানুষটা আত্মহত্যা করলো? কি দুঃখ ছিলো? স্তব্ধ হয়ে হয়তো কিছুক্ষণ বসে থাকি। কিন্তু আমরা বিষয়টি নিয়ে কথা খুব কমই বলি। আত্মহত্যা কথাটা শুনলেই আমাদের মাঝে কেমন যেনো একটা অনুভূতি কাজ করে বেশির ভাগ সময়ই ব্যাপারটা চেপে যাই। কিন্তু এই এড়িয়ে যাওয়া বা চেপে যাওয়ার ফলে কি আত্মহত্যার পরিমান কমে যাচ্ছে কোনোভাবে? মোটেই না বরং নানান কারনে মানুষের আত্মহত্যা প্রবনতা বেড়েই চলছে দিনদিন।


কেনো মানুষ আত্মহত্যা করে বা করতে চায়?
আত্মহত্যার প্রধান উদ্দেশ্য মরে যাওয়া নয় বরং কোনো একটি বিশেষ কষ্ট বা যন্ত্রণাকে শেষ করার তীব্র ইচ্ছা। একজন আত্মহত্যাপ্রবন মানুষের মাঝে থাকে একরাশ হতাশা, অসহায়ত্ব, একাকীত্ব, সমস্যা সমাধানের প্রয়োজনীয়তা এবং জীবন আর মৃত্যুর মাঝে এক অপূরণীয় অনিশ্চয়তা। বেঁচে থাকার চেয়ে যখন মরে যাওয়াকেই সহজ মনে হয়, যখন মনে হয় আর কোনো উপায় নেই সমস্যা সমাধানের ঠিক এরকম পরিস্থিতিতেই একজন মানুষ আত্মহত্যার মতো একটি কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে পারে।
ব্যানক্রফট ১৯৭৯ এর মতে, “কোনো আন্তঃব্যাক্তিগত ক্ষতি বা দন্দের মতো কঠিন সমস্যায় মানুষ সাধারনত আত্মহত্যাকেই একমাত্র সম্ভাব্য সমাধান হিসেবে প্রত্যক্ষন করে”ক্ষতি, লজ্জা বা অপমানের মতো মানসিক কষ্ট থেকে পালানোর জন্য আত্মহত্যা একটি সহজ উপায় বলে ধরে নেয় অনেকে। এই দৃষ্টিকোণ থেকে দেখলে বলা যায় আত্মহত্যা এমন একটি অবস্থা যেখানে মৃত্যুর মাধ্যমে একজন মানুষ কষ্ট থেকে মুক্তি লাভ করে বা করতে চায়। মানসিক রোগের কারনেও আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে থাকে। ডিপ্রেশন, বাইপোলার ডিসঅর্ডার, সিজোফ্রেনিয়া, বর্ডারলাইন পারসোনালিটি ডিসঅর্ডার , এলকোহলিজম বা ড্রাগ অ্যাবিউজের মতো মানসিগ রোগে হতাশা একটি বড় বিষয় যার ফলেও ঘনঘন আত্মহত্যা ঘটে থাকে। অর্থনৈতিক সমস্যার চাপ কিংবা আন্তঃব্যাক্তিগত সম্পর্কের ঝামেলাও অনেক সময় এক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
আত্মহত্যার নিদৃষ্ট কোন কারন খোঁজা ভুল। এটা সম্পূর্ণভাবে একজন মানুষের জীবনপ্রবাহের উপর নির্ভর করে। কখনো কখনো একটি ঘটনাই ব্যক্তিকে আত্মহত্যাপ্রবন করতে পারে আবার অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় অনেকগুলো ঘটনার সামস্টিক ফল। আত্মহত্যা মূলত জৈবিক, মানসিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক  এবং পারিপার্শ্বিক অবস্থার একটি জটিল মিথস্ক্রিয়ার ফল। আত্মহত্যার নিদৃষ্ট কোন বয়স নেই। জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সব মানুষেরই আত্মহত্যার ঝুঁকি রয়েছে। নারী-পুরুষ, ধনী-গরীব, বৃদ্ধ-যুবক/যুবতী, গ্রামীণ-শহুরে কেউই এই ঝুঁকির বাইরে নয়।  

আত্মহত্যার সতর্কীকরণ সংকেত বা Warning Sings 
আগেও উল্লেখ করা হয়েছে যে, অধিকাংশ মানুষ যারা আত্মহত্যার চিন্তা করে সত্যিকার অর্থে মরতে চায় না। যা হয় সেটা হলো তারা একটা কঠিন সমস্যায় পরে এবং তার সমাধানের কোন পথ না পেয়ে আত্মহত্যাকে বেছে নেয়। একজন মানুষ যখন মানসিক ভাবে খারাপ থাকে কিংবা কোন সমস্যায় পরে, এরকম সময়ে সে সব সময়েই কোন না কোন ভাবে সংকেত দেয় যে তার জীবনে কিছু একটা ঠিক হচ্ছে না, বা সে ভালো নেই। যারা আত্মহত্যা করার কথা চিন্তা করে তারা সব সময়েই তাদের আচরনে এরকম কিছু স্পষ্ট লক্ষন প্রকাশ করে। এই লক্ষনসমূহকেই সতর্কীকরণ সংকেত বা Warning Sign বলা হয়। একটা মানুষ কতোখানি আত্মহত্যার ঝুঁকিতে আছে তা প্রথমিকভাবে এই ওয়ার্নিং সাইনের মাধ্যমেই নির্ধারণযোগ্য। এই সাইন গুলো বলে দেয় কয়েক মিনিট, কয়েক ঘণ্টা নাকি কয়েক দিনের মাঝে সে আত্মহত্যার প্ল্যান করছে। এর কারনে আত্মহত্যার ওয়ার্নিং সাইন গুলো সম্পর্কে জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কেননা এই পর্যায়ে কার্যকরী পদক্ষেপ নিলেই কেবল আত্মহত্যা প্রতিরোধ করা সম্ভব। American Association of Suicidology'র গবেষণার মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী কতিপয় ওয়ার্নিং সাইন উঠে এসেছে।   

# আত্মহত্যা বা মৃত্যু সংক্রান্ত কাজঃ  যেকোনো কাজ যেমন সংগীত, চিত্রাঙ্কন, লেখা কিংবা সাধারন কথা সব কিছুতেই মৃত্যু প্রসঙ্গ থাকা। নিজের প্রিয় জিনিস যেগুলো কখনো কারো সাথে শেয়ার করা হতো না হঠাৎ করেই সেগুলো অন্যদের মাঝে বিলিয়ে দেয়া। কিংবা কারো সাথে ঝগড়া ছিলো, মনমালিন্য ছিলো , বোঝা-পারায়  ঝামেলা ছিলো কিন্তু হঠাৎই সেইসব মিটমাট করার জন্য চেষ্টা করা। অথবা সবার কাছে ক্ষমা চাওয়া - এই সবগুলোই ব্যাক্তির মাঝে জীবন শেষ করে দেয়ার ইঙ্গিত বহন করতে পারে।  

#মৌখিক কথাবা্তাঃ যারা আত্মহত্যার কথা চিন্তা করে তাদের বাক্যে বা কথায় একটা হতাশা, জীবনের প্রতি নিরাশা এমনকি সরাসরি মৃত্যুর কথা প্রকাশ পায়। যেমনঃ
-আমি আর নিজেকে বাঁচিয়ে রাখতে চাইনা।
-অন্যের বোঝা হতে হতে আমি ক্লান্ত।
-এগুলো আর কখনো ঠিক হবেনা।
-আমাকে ছাড়াই সবাই ভালো থাকবে।
-আমি চলে গেলে কেউই আমাকে মিস করবে না।
-যদি আমি মরে যেতে পারতাম !
-এই ঘুম যদি আর না ভাঙতো !
-আমাকে কেউ ভালোবাসে না।
-আমি একা কিভাবে বেঁচে থাকবো ?
-আমার কোন ভবিষ্যৎ নেই।
-আমি আর কষ্ট সহ্য করতে পারছি না।

#শারীরিক পরিবর্তনঃ খুব দ্রুত ওজন বেড়ে যাওয়া। হঠাৎ করেই নিজের যত্ন না নেয়া। কোন রকম পরিস্কার- পরিচ্ছন্নতা বজায় না রাখা। যেমন, দুই দিনেও গোসল বা খাওয়া দাওয়া না করা, দিনে একবারও আয়নায় মুখ না দেখা বা মাথার চুল অগোছালো রাখা, এলোমেলো পোশাক পরিধান করা। শরীরের বিভিন্ন জায়গায় দাগ, কাঁটা, আঁচর, ঘা কিংবা ইনজেকশনের সূচের দাগ যেগুলো জিজ্ঞেস করলে উত্তর দিতে পারবে না। এগুলো সেলফ হার্মমূলক আচরনের ইঙ্গিত বহন করে থাকে। 

#আচরনে প্রচণ্ডরকম পরিবর্তনঃ সামাজিক অনুষ্ঠান বা সমাবেশ থেকে নিজেকে সরিয়ে আনা। বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়স্বজন সবার থেকে দূরে থাকা। কোন কাজে আনন্দ না পাওয়া। যে কাজগুলো করতে এক সময় অনেক বেশি পছন্দ হতো হঠাৎ করেই সেইসব বন্ধ করে দেয়া। সব সময় খুব মলিন, চিন্তিত বা বিরক্তিভাব থাকা। খুব দ্রুত মনের অবস্থা পরিবর্তন হওয়া, যেমন, এই হাসি তো একটু পরেই এমন মলিন, রাগ বা কান্না করা। হঠাৎ করেই অপ্রয়োজনীয় ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করা। যেমন, নিয়মিত ওষুধ বন্ধ করে দেয়াশারীরিক প্রতিবন্ধকতা থাকা সত্ত্বেও মারাত্মক সব কাজ করা। আচমকা এলকোহল বা ড্রাগস নিতে শুরু করা।

#সাম্প্রতিক চাপমুলক ঘটনাঃ সম্প্রতি কোন একজন ভালোবাসার মানুষের মৃত্যু, কিংবা সম্পর্কের ছেঁদ, অথবা চাকরি হারানো, বিবাহ বিচ্ছেদ, চাকরি চলে যাওয়া, পরীক্ষায় ফলাফল আশানুরুপ না হওয়া ইত্যাদি হতে পারে। পূর্ববর্তী আত্মহত্যার প্রচেষ্টা ও একটি বিশেষ কারন হতে পারে। অথবা অর্থনৈতিক সমস্যায় পড়া।

আত্মহত্যাপ্রবণ ব্যাক্তির সাথে করনীয়

যদি এরকম হয় যে আপনি কাউকে চিনেন বা জানেন যার মাঝে সম্ভবত আত্মহত্যাপ্রবণ চিন্তা আছে সেক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে তাৎক্ষনিকভাবে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে হবে এবং ঐ ব্যাক্তির সকল কথা গুরুত্তের সাথে বিবেচনা করতে হবে।

প্রথমেই তাকে বোঝার চেস্টা করতে হবে। কিছুটা সময় পর একটু সহজ হয়ে এলে প্রশ্ন করতে হবে যে সে আত্মহত্যার কথা ভাবছে কিনা? অথবা কোন পরিকল্পনা করেছে কিনা আত্মহত্যা করার জন্য। যদি পরিকল্পনা করে থাকে তাহলে তা কিভাবে এবং কখন সে বাস্তবায়ন করবে বলে ভেবেছে। সব সময় মনে রাখতে হবে কাউকে আত্মহত্যার প্রশ্ন করা মানে তার মাথায় আত্মহত্যার বীজ বপন করে দেয়া নয়। এটা সম্পূর্ণ একটা ভ্রান্ত ধারনা। বরং এরকম সরাসরি প্রশ্ন করলে সে তার ভিতরের কথা বলার সুযোগ পাবে। সে অনুভব করতে পারবে যে কেউ একজন তার সমস্যা বা কষ্টের গভীরতা অনুভব করতে পেরেছে। এই স্তরের প্রত্যেকটা মুহূর্ত এবং আলোচনা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ কারনে সব সময় সচেতন থাকতে হবে যাতে আপনার কথায় বা কাজে কোনভাবেই ঐ ব্যাক্তি আঘাত বা কষ্ট না পায়। এবং নরম স্বরে Non-Judgmental দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে তার সাথে কথা বলাটা অত্যন্ত জরুরী। এই স্তরেই একজন মানুষ কতোখানি আত্মহত্যার ঝুঁকিতে আছে তা নির্ধারণ করা যায় এবং সে অনুযায়ী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহনের মাধ্যমে আত্মহত্যা প্রতিরোধ করা সম্ভবপর হয়। 
যদি কেউ আত্মহত্যার প্রচেষ্টা করতে যাচ্ছে এরকম ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় থাকে সেক্ষেত্রে কয়েক ধাপে আপনাকে আগাতে হবেঃ 
# যদি সম্ভব হয় তাহলে অন্য কাউকে ( পরিবারের হলে ভালো হয় )জানানো এবং তার সাহায্য নেয়া। কারন এই সময়ে একা সব দিক বিবেচনা করে কাজ করা খুব কঠিন হয়ে পরে। তাই কখনই একা একা সব করতে যাওয়া যাবে না। 
# তাৎক্ষনিক ভাবে প্রফেশনাল সাহায্য নেয়া যেমন, ডাক্তার, মনোবিজ্ঞানী, মনোরোগ বিশেষজ্ঞগনের সাথে আলাপ করা।
# যথাযথ সাহায্যের অন্তর্ভুক্তি না হওয়া পর্যন্ত আত্মহত্যাপ্রবণ ব্যাক্তিকে একা ছাড়া যাবে না।
# অবশ্যই ব্যাক্তিকে উপায় বা Lethal Means ( যেমন, দড়ি, বিষ, স্যাভ্লন, ব্লেড, চাকু, বন্দুক, হারপিক ইত্যাদি যা দিয়ে সে আত্মহত্যার পুরিকল্পনা করেছিলো)  মুক্ত করতে হবে।
# এবং ব্যাক্তি সম্পূর্ণ রুপে নিরাপদ না হওয়া পর্যন্ত কাউকে তার তত্ত্বাবধানে সার্বক্ষণিক ভাবে থাকতে হবে।

৬ ধাপ বিশিষ্ট নিরাপত্তামুলক পরিকল্পনা (Safety Planning)

এখন কথা হলো আমি নিজেই যদি থাকি আত্মহত্যার ঝুঁকিতে বা আমার নিজেরই যদি আত্মহত্যার চিন্তা আসে তাহলে কি করবো? এটা খুবই স্বাভাবিক যে আমার বা আপনার কখনো কখনো আত্মহত্যার চিন্তা আসতেই পারে। তখনও আমাদের কিছু কাজ করার আছে যার মাধ্যমে আমরা অন্যের সাহায্য ছাড়াও প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যাপ্রবনতাকে প্রতিরোধ করতে পারি। এক্ষেত্রেও আমাদের কতোগুলো ধাপ মেনে আগাতে হবেঃ
১। ওয়ার্নিং সাইন গুলোকে চিনতে শেখা।
২। নিজের Internal Coping Strategy গুলোকে সক্রিয় করা। যার মাধ্যমে সহজে আত্মহত্যা মুলক চিন্তা থেকে দূরে থাকা যায়।
৩। সামাজিক সম্পর্ক বাড়ানো এবং যারা আপনাকে মানসিক সহায়তা করতে পারবে তাদের সাথে যোগাযোগ করা। এতে করে ক্রাইসিসের সময়টাতে মন অন্যদিকে সরানো সহজ হয় একই সাথে অন্যরাও সাহায্য করার সুযোগ পাবে।
৪। পরিবার বা কাছের বন্ধুর সাথে বিষয়টি নিয়ে কথা বলা যারা আপনাকে দীর্ঘ মেয়াদী সহায়তা প্রদান করতে পারবে এবং ক্রাইসিসের মুহূর্তে সর্বক্ষণ আপনার খেয়াল রাখতে পারবে।
৫। দীর্ঘস্থায়ী সমাধানের জন্য মানসিক স্বাস্থ্য প্রফেশনালদের সহায়তা নেয়া। 
৬। পরিবেশ Lethal Means মুক্ত করা যাতে যখন তখন আত্মহত্যার প্রচেষ্টা করা না যায়

প্রত্যেকটি জীবন মূল্যবান। একজন মানুষের আত্মহত্যার মধ্য দিয়েই এই প্রক্রিয়া শেষ হয়ে যায় না। তার পরিবার, সমাজ এমনকি রাষ্ট্র এর দ্বারা প্রভাবিত হয়। প্রত্যেকটা মানুষের মাঝেই রয়েছে নিজ নিজ সম্ভাবনা। আমরা চাইলেই এই সম্ভাবনা গুলোকে সুন্দর এক একটি ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি। শুধু দরকার সমষ্টিগত চেষ্টা। আত্মহত্যা নিয়ে এখনো আমাদের দেশে নানান রকম কুসংস্কার চালু আছে। মানুষ সহসা এই বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে চায় না। আমরা বলতে চাইনা, আমরা শুনতেও চাইনা। কিন্তু এই বৃত্ত থেকে বের হয়ে এসে আমাদের ভাবতে হবে, একসাথে কাজ করতে হবে। একে অপরের পাশে দাঁড়ানোর দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি করতে হবে। শুধুমাত্র তাহলেই আমরা একটা বিশাল জনগোষ্ঠীকে বাঁচাতে পারবো। প্রত্যেকে নিজ নিজ জীবনকে সুখী ও সুন্দর করতে পারবো। আসুন আমরা সবাই আত্মহত্যা প্রতিরোধে এগিয়ে আসি। পথ চলাটা আপনাকে দিয়েই শুরু হোক।

বিঃ দ্রঃ লেখাটি সমৃদ্ধ করার ক্ষেত্রে কান পেতে রই এর ভলান্টিয়ার ট্রেনিং ম্যানুয়াল থেকে লেখক বিভিন্ন তথ্য এবং বিষয়বস্তু নিয়েছেন। 
লেখাটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা মনোবিজ্ঞান বিভাগের বাৎসরিক ম্যাগাজিন 'মনোভুবন' এ ২০১৪ প্রকাশিত হয়েছিলো। 

লেখক
রুবিনা জাহান
ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট
বর্তনামে ব্রাক জেমস পি গ্রান্ট স্কুল অব পাবলিক হেলথ এর ডেভেলপিং মিডওয়াইফারি প্রজেক্টে কর্মরত আছেন। রুবিনা ২০১৩ সাল থেকে কান পেতে রই এর সাথে কাজ করছেন হেড, ট্রেনিং এন্ড রিসার্চ হিসেবে। 







Comments

Popular posts from this blog

আমার প্রিয় ৫০টি বই - মুহম্মদ জাফর ইকবাল

শেয়ারিং ইজ কিউরিং এবং কান পেতে রই

পাশে থাকতে শেখা - নিজের এবং অন্যের