শেয়ারিং ইজ কিউরিং এবং কান পেতে রই

 

শেয়ারিং শব্দটার সাথে আমরা প্রায় সবাই পরিচিত। শেয়ারিং বলতে বুঝি কোন কিছু নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নেওয়া। আধুনিক প্রযুক্তির ছোঁয়ায় আমরা নিত্য নতুন শেয়ারিং ধারণার সাথে পরিচিত হচ্ছি, যেমন রাইড শেয়ারিং, যেকোন সার্ভিস শেয়ারিং, ইত্যাদি। প্রতিটা শেয়ারিং এর ক্ষেত্রে আমাদের কিছু ইন্টারেকশন হয়। এই ইন্টারেকশন কারও জন্য সুখকর অনুভূতির জন্ম দেয়, কারো জন্য অস্বস্তিকর, কিংবা কারো জন্য বিরক্তিকর অথবা ভয়ংকর অভিজ্ঞতা উপহার দেয়। এই যে ছোট্ট একটি ইন্টারেকশন এর ঘটনা আপনার মাঝে যে অনুভূতি ও চিন্তার উদ্রেক করলো সেটা আপনি হয়তো শেয়ার করেন আপনার কলিগ, বন্ধু বা পরিবারের কোন সদস্যের সাথে।

এখন ভাবুন, প্রতিদিন এমন শত শত ইন্টারেকশন করছেন, বহু মানুষের সাথে, বহু প্রতিষ্ঠানের সাথে। এমনকি অধিকাংশ ইন্টারেকশনের সময় অনুভূতির কথা খেয়ালই থাকে না, কিংবা সচেতন ভাবে চিন্তাও করি না আমরা। দিন শেষে ভুলে যাই কি কি চিন্তা ও অনুভূতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছিলাম, শুধু মাত্র আমাদের বিচারে গুরুত্বপূর্ণ কিছু অভিজ্ঞতা মাথায় থাকে সেটাও সময়ের পরিক্রমায় হারিয়ে যায়। এইবার আরেকটু লম্বা সময়ের জন্য চিন্তা করুন, ছোট বেলা থেকে এমন হাজারো ঘটনা ও অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছিলেন যা আপনার অনুভূতি ও চিন্তা কে সাময়িক ভাবে অথবা দীর্ঘ মেয়াদে গভীরভাবে প্রভাবিত করেছিল কিন্তু ধীরে ধীরে সেগুলো হারিয়ে গিয়েছে বিস্মৃতির অতল গহ্বরে শুধু মাত্র হুটহাট করে ভিন্ন পরিস্থিতিতে আপনার এমন কিছু প্রতিক্রিয়া বা চিন্তা চলে আসে যেগুলো আপনি হয়তো সচেতন ভাবে করতেন না, কিন্তু এমন পরিস্থিতিতে নিজেকে সংযত করতেও আপনি পারছেন না? ঠিক কি কারণে এমনটা হয়? 

মনোবিজ্ঞানী সিগমুন্ড ফ্রয়েডের মতে, আমাদের অবচেতন মনে জমা হওয়া অনুভূতি ও চিন্তা আমাদের আচরণ কে গভীর ভাবে প্রভাবিত করে। এবং সেটা এতটাই প্রভাবিত করে যে অধিকাংশ সময় সে সম্পর্কে সচেতন থাকিনা। অর্থাৎ এই যে আপনি অল্পতেই রেগে যাচ্ছেন বা কষ্ট পাচ্ছেন যা আপনার নিজের কাছেও যৌক্তিক না, অর্থাৎ আপনি বুঝতে পারছেন আপনার এই অনুভূতি'র পিছনে যে চিন্তা সেটা যৌক্তিক না তবুও আপনি নিজের এই আবেগীয় প্রতিক্রিয়া এড়িয়ে যেতে পারছেন না। এর অর্থ হলো আপনার অবচেতন বা অচেতন মনে এমন কোন স্মৃতি বা অভিজ্ঞতা রয়েছে যেটা আপনার আচরণকে প্রভাবিত করছে

কগনিটিভ সাইকোলজি অনুযায়ী আপনার অযৌক্তিক বিশ্বাস বা চিন্তা আপনার মাঝে এমন কিছু অনুভূতি এবং চিন্তার উদ্রেক ঘটায় যা আপনার জন্য সুখকর না, এর প্রভাবে আপনার আচরনগত নানা রকম সমস্যাও তৈরি হতে শুরু করে।

যে ধরনের সমস্যা গুলো তৈরি হয় সেগুলো প্রথমদিকে সাধারণত খুব ছোট মনে হয়, প্রতিদিনকার জীবনে খুব বেশি প্রভাব পরে না বলে আমরা খুব একটা পাত্তা দেই না। ধীরে ধীরে যখন সমস্যাগুলো প্রকট আকার ধারণ করে এবং আমাদের নিজেদের ব্যক্তিত্ব, সম্পর্ক, ক্যারিয়ার, পারিবারিক ও সামাজিক বিভিন্ন ক্ষেত্রে সমস্যার প্রভাব পড়তে শুরু করে তখন আমরা বিষয়গুলো নিয়ে ভাবা শুরু করি, যেমন পরীক্ষায় রেজাল্ট খারাপ করা, কর্মক্ষেত্রে বিভিন্ন জটিলতা তৈরি হওয়া, নিজেকে প্রোডাক্টিভ করতে না পারা, নিজের সম্পর্কে নেতিবাচক চিন্তা, আত্মবিশ্বাস কমে যাওয়া, রোমান্টিক ও পারিবারিক সম্পর্কে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে, ভবিষ্যত নিয়ে অনিশ্চয়তায় নিমজ্জিত হই তখন গিয়ে আমাদের টনক নড়ে, যে কিছু একটা সমস্যা হচ্ছে। কিন্তু বেশি দিশেহারা অনুভব করি যখন আমরা সঠিক কারণটি খুঁজে পাই না

এই অবস্থা থেকে ধীরে ধীরে নানা রকম মানসিক স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি হয়, যার ফলশ্রুতিতে ডিপ্রেসন, ফোবিয়া, PTSD এবং পার্সোনালিটি ডিজঅর্ডার এর মত মানসিক রোগ তৈরি হতে পারে। কারো মাঝে আত্মহত্যা প্রবণতা তৈরি হতে পারে (আমরা সবাই জানি বাংলাদেশে গড়ে প্রতিদিন ৩০-৪০জন মানুষ আত্মহত্যা করে এবং চেষ্টা করে ২০-২৫গুণ বেশি মানুষ) অর্থাৎ ছোটবেলা থেকে তৈরি হওয়া নানা রকম অভিজ্ঞতার পাশাপশি আমাদের জীবনে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার কারণে তৈরি হয় ট্রমা, ভয়, অপরাধবোধ, কষ্ট, যন্ত্রণা, হতাশাসহ যে অনুভূতিগুলো তৈরি হয় সেগুলো হয়তো খুব কাছের কারো সাথে শেয়ার করা হয়। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রে আমাদের এই অনুভূতি গুলো সম্পর্কে আমরা সঠিক তথ্য জানি না এবং বিভিন্ন জাজমেন্ট এর কারণে আমরা শেয়ার করা থেকে বিরত থাকি।

যখন চূড়ান্ত পর্যায়ের মানসিক স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে তখন তো প্রফেশনাল হেল্প এর বিকল্প নেই, অবশ্যই একজন সাইকোলজিস্ট অথবা সাইকিয়াট্রিস্ট এর সহায়তা নিতে হবে আপনার। কিন্তু দৈনন্দিন জীবনের যে কোন পর্যায়ে তীব্র অনুভূতি, চিন্তা বা আচরণগত কোন ইস্যু যখন তৈরি হয় সেই সময় যদি আমরা নিরাপদ একটি জায়গায় শেয়ার করতে পারি তখন আমরা তুলনামূলক স্বস্তিবোধ করি। ব্যক্তি পর্যায়ে এমন নিরাপদ জায়গা খুবই কম থাকে। বিশেষ করে আমাদের দেশে যেখানে অনুভূতি, চিন্তা ও আচরণ সংক্রান্ত ইস্যু গুলোকে দেখা হয় নেতিবাচক ভাবে, সেখানে মানুষ জাজমেন্ট এর ভয়ে নিজেদের অনুভূতি নিয়ে কথা বলতেই ভয় পায়। অথচ শেয়ারিং হতে পারে মানসিক স্বাস্থ্য ঝুঁকির প্রাথমিক চিকিৎসা যা ঘরে বসেই একজন মানুষ নিরাপদে পেতে পারে। শেয়ারিং একটি থেরাপিউটিক টুল, যা আমাদের মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। মনোবিজ্ঞানীগণ শেয়ার করার গুরুত্ব তুলে ধরতে গিয়ে যে উপকারিতা গুলো উল্লেখ করেন সেগুলো হলো:

অনুভূতি সম্পর্কে সচেতন হওয়া: নিরাপদ কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের কাছে শেয়ারিং করার মাধ্যমে আমরা আমাদের আবেগ অনুভূতিগুলো সম্পর্কে পূর্ণ সচেতন হতে পারি, আমরা বুঝতে পারি যে আমরা কিসের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি।

অভিজ্ঞতা সম্পর্কে ধারণা লাভ: আমাদের সাথে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলো এবং অভিজ্ঞতাসমূহ সম্পর্কে ভিন্ন ভিন্ন পার্সপেক্টিভ পেতে পারি যা আমাদের নিজেদের সমস্যা সমাধানে অনুপ্রাণিত করবে

প্রায়োরিটি ও ফোকাস নির্ধারণ: শেয়ার করার মাধ্যমে আমরা আমাদের ফোকাস ঠিক করতে পারি, বর্তমানে অর্থাৎ এই মুহূর্তে আমাদের করণীয় সম্পর্কে নিজেরাই ঠিক করতে পারি।

সমস্যা সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা লাভ: যে সকল কারণে আমরা মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত বোধ করি সেগুলো সম্পর্কে আরো পরিষ্কার ধারণা লাভ করি এবং কিভাবে মোকাবেলা করব সেটা বুঝতে পারি।

নিজের সক্ষমতা সম্পর্কে বাস্তবিক ধারণা লাভ: শেয়ারিং করার মাধ্যমে আমরা নিজেদের সামর্থ সম্পর্কে ধারণা লাভ করতে পারি এবং নিজের সমস্যা সমাধানে নিজেই সক্ষম এই বিশ্বাস ফিরিয়ে আনতে পারি।

আত্মসচেতনতা বোধ তৈরি করে: যেকোন পরিস্থিতিতে নিজের অবস্থান সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা লাভ করতে পারি এবং নিজের আয়ত্বে কি আছে ও কি নেই সে সম্পর্কে অবগত হতে পারি শেয়ারিং করার মাধ্যমে।

আত্মবিশ্বাস তৈরিতে সাহায্য করে: নিয়মিত নিজের আবেগ অনুভূতি ও চিন্তা শেয়ার করার মাধ্যমে আমরা নিজের সম্পর্কে আরও বেশি সচেতন হই যা আমাদের কে আত্মবিশ্বাসী ও আত্মপ্রত্যয়ী হতে সাহায্য করে।

মানসিক অসহায়ত্ব দূর করে অনুভূতির নিরাপত্তা নিশ্চিত করে: আপনি একা নন, আপনার পাশে সহমর্মী কিছু মানুষ আছেন যা আপনাকে নিরাপদ ও সাহসী অনুভব করতে সাহায্য করবে

মানসিক স্বাস্থ্য ঝুঁকি কমিয়ে আনে: মনের কথা (চিন্তা) ও অনুভূতি শেয়ার করার নিরাপদ জায়গা থাকলে আত্মহত্যা প্রবণতা কমে আসে, মানসিক স্বাস্থ্য ঝুঁকি ক্রমান্বয়ে হ্রাস পায় এবং যেকোন মানসিক রোগ বা disturbance থেকে রিকভারি করতে সাহায্য করে।

আগেই বলেছি আমাদের অবচেতন ও অচেতন মনে থাকা নানা রকম অনুভুতি চিন্তা আমাদের কে কিভাবে প্রভাবিত করে এবং সেগুলোর প্রতিক্রিয়া কি হয়, সে সকল ক্ষেত্রে শেয়ারিং একটি থেরাপিউটিক টুল হিসেবে কাজ করে যেখানে নিজের কথা গুলো শেয়ার করার মাধ্যমে আমরা অনেক সময় অবচেতন ও অচেতন মনে থাকা চিন্তা ও অনুভূতি সম্পর্কে সচেতন হই। আর যখনই আমরা সচেতন হই ও মেনে নিতে পারি তখনি আমাদের মানসিকভাবে সুস্থ থাকার পথে এক ধাপ এগিয়ে যাই যদিও এই শেয়ারিং স্পেস সবখানে সব সময় পাওয়া কঠিন, বিশেষ করে এমন থেরাপিউটিক মডেলে।

আমরা জানি বাংলাদেশে মানসিক স্বাস্থ্য কতটা অবহেলিত (যদিও আমি সাম্প্রতিক উন্নতি দেখে আশাবাদী), তার উপর এমন শেয়ারিং স্পেস খুবই কম যেখানে গোপনীয়তা বজায় রেখে শেয়ারিং এর ব্যাবস্থা থাকবে। কিন্তু আমরা যদি এমন একটি নিরাপদ জায়গা পাই যেখানে নিয়মিত নিজেদের অনুভূতি ও চিন্তাগুলো নির্দ্বিধায় শেয়ার করতে পারবো, আমার কথাগুলো সম্পূর্ণ গোপন থাকবে, কেউ আমাকে জাজ (বিচার) করবে না, আগ বাড়িয়ে কোন উপদেশ বা সমাধান দিবে না, শুধুমাত্র আমার কথাগুলো শুনবে এবং সহমর্মিতার সাথে আমার পাশে থাকবে তাহলে কেমন হতো?! জ্বী, তেমনি একটি জায়গা হলো কান পেতে রই বাংলাদেশের প্রথম ইমোশনাল সাপোর্ট ও সুইসাইড প্রিভেনশন হেল্পলাইন যেখানে যেকেউ ফোন করে তার যেকোন অনুভূতি, চিন্তা ও অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করতে পারে। কান পেতে রইয়ের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত দক্ষ স্বেচ্ছাসেবকগণ এখন পর্যন্ত প্রায় ৩১ হাজারেরও বেশি মানুষকে মানসিক সহায়তা প্রদান করেছে তাদের হেল্পলাইনের মাধ্যমে। ২০১৩ সালে বিফ্রেন্ডিং মডেলের উপর ভিত্তি করে স্বেচ্ছাসেবক নির্ভর এই মানসিক সহায়তা ও আত্মহত্যা প্রতিরোধ মূলক হেল্পলাইন বাংলাদেশে যাত্রা শুরু করে ড. ইয়েশিম ইকবালের হাত ধরে।

ইমোশনাল সাপোর্ট ও আত্মহত্যা প্রতিরোধে এমন হেল্পলাইনের আসলে প্রয়োজনীয়তা কি? সামগ্রিক ভাবে দেশের কি উপকার হয় সেটা বুঝতে একটা উদাহরণ লক্ষ করলেই হবে। ডেনমার্কে আশির দশকে আত্মহত্যা প্রবণতা বেড়ে যায় এবং সরকারি ও বেসরকারি হিসাব মতে বছরে প্রতি লাখে ৩৮ জন মানুষ আত্মহত্যা করতো। ডেনমার্ক সরকার মানসিক স্বাস্থ্য সেবায় গুরুত্ব আরোপ করে এবং সরকারি বেসরকারি সকল পর্যায়ে বিভিন্ন ধরনের মানসিক স্বাস্থ্য সেবা  নিশ্চিত করতে উঠে পরে লাগে। তারই অংশ হিসেবে তারা সচেতনতা তৈরি এবং মানসিক সাপোর্ট দেওয়ার লক্ষ্যে সরকারি ও বেসরকারি ভাবে হেল্পলাইন চালু করে। দীর্ঘ চার দশক ধরে তাদের এই ক্যাম্পেইন চলে এবং ২০১৯ সালে ফলোআপ স্টাডিতে দেখা যায় যে তাদের আত্মহত্যার রেট লাখে ৯ জনে নেমে এসেছে যা আশির দশকের তুলনায় চার ভাগের এক ভাগেরও কম। এটা তো গেলো সামগ্রিকভাবে দেশের চিত্র, ব্যক্তি পর্যায়ে তাহলে কতটা প্রভাব ফেলে সেটা সহজেই অনুমেয়।



বাংলাদেশে কান পেতে রই যাত্রা শুরু করার পর যে ৩১হাজারেরও বেশি কল রিসিভ করেছে, সেসকল কলে ৩১ হাজার মানুষের গল্প আছে, তাদের আবেগ, অনুভূতি, আচরণ ও জীবনের নানা প্রতিকূল অভিজ্ঞতার বর্ণনা আছে, আছে আত্মহত্যা প্রবণ মানুষের তীব্র আবেগীয় ও চিন্তার জগতের বহিঃপ্রকাশ। সেই সকল মানুষের জন্য হেল্পলাইনে ছিল একদল ননজাজমেন্টাল সহমর্মী স্বেচ্ছাসেবকবৃন্দ, যারা বিনা পারিশ্রমিকে শুধু মানুষের মানুষের পাশে থাকার উদ্দেশ্যে দিন রাত পরিশ্রম করে গিয়েছে, দিয়েছে মানসিক সহায়তা ও আত্মহত্যা প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় সেবা।

বাংলাদেশে শেয়ারিং এর একটি নিরাপদ জায়গা তৈরিতে কান পেতে রই নিঃসন্দেহ পথিকৃৎ, সেই সাথে মানসিক সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে যে মডেল আমাদের কে উপহার দিয়েছে সেটা এক কথায় অনন্য। যে সার্ভিস মডেলের কারণে মানসিক স্বাস্থ্য সেবা অর্থাৎ শেয়ারিং করার নিরাপদ জায়গা তৈরি হয়েছে এবং মানুষের আস্থা অর্জন করেছে সেটা অতুলনীয়।

নানা চড়াই উৎরাই পেরিয়ে কান পেতে রই আজকে ২৮শে এপ্রিল পদার্পণ করল ৯ম বছরে। পরপর দুইটি প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী কান পেতে রই পালন করছে করোনা অতিমারির মাঝে। করোনা প্রকোপ থাকা সত্বেও বন্ধ হয় নি কান পেতে রই'য়ের সেবা প্রদান। বরং বেড়েছে সময়, বেড়েছে সেবা গ্রহীতার সংখ্যা। নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে কান পেতে রই ম্যানেজমেন্ট টিম ও স্বেচ্ছাসেবকবৃন্দ। 

বাংলাদেশে মনের কথা বলার জায়গা তৈরিতে এবং মানুষের মাঝে মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক ও আত্মহত্যা প্রতিরোধে সচেতনতা তৈরিতে অগ্রদূত কান পেতে রই এর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে এর সঙ্গে যুক্ত সকল স্বেচ্ছাসেবক, ম্যানেজমেন্ট ও কলারদের কে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।

মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য নিজের অনুভূতি, চিন্তা ও অভিজ্ঞতা শেয়ার করার বিকল্প নেই। তাই নিরাপদ জায়গায় নিজের অভিজ্ঞতা গুলো শেয়ার করি এবং মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করি।


Author Information

ফয়সাল আহমেদ রাফি | সাইকোলজিস্ট, বিডিলিসেনার্স 

Email: faysalahmed.rafi7@gmail.com 



Comments

Popular posts from this blog

আমার প্রিয় ৫০টি বই - মুহম্মদ জাফর ইকবাল

পাশে থাকতে শেখা - নিজের এবং অন্যের